নিতান্তই মামুলি
– সাম্যময় সেন গুপ্ত –
ভদ্রলোক আমার কাছে দুহাজার টাকার নোটের খুচরো চাইলেন. আমার কাছে ছিলো কিন্তু দিলাম না. ভদ্র ভাবে স্মিত হেসে আক্ষেপের ভঙ্গিতে বললাম “সরি, নেই “. ভদ্রলোক বিমর্ষ ভাবে প্রায় স্বগতোক্তি করলেন “ছেলেটা হসপিটালাইসড ………, ওষুধটা তো লাগবেই ……. “.
তারপর গরমের সেই নিঝুম দুপুরে পর পর কয়েকটি ঘটনা ঘটলো. খবরের কাগজে বেরোয়নি.
-আমি লজ্জিত হলাম
-আমার মধ্যে অপরাধ বোধ এল
-আমার ভদ্রলোকের জন্য কষ্ট হল
-আমি ওনার টাকা ভাঙ্গিয়ে দিলাম
-মনে মনে চাইলাম – ওনার ছেলে যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে
একজন মানুষের দুঃক্ষ আরেকজন কে ছুঁয়ে গেলো, কেউ জানল না. একের আনন্দ অন্য কে না ছুঁলেও দুঃক্ষ কিন্তু ছোঁয়. আমরা সব্বাই একে অন্যের সাথে দুঃখের সুতোএ বাঁধা পরে থাকি. অপরিচিতের দিকে হাত বাড়ানোয় সুখ, অপরিচিতের হাত ধরায় সুখ.
সেই দুপুরের রাগি রোদ্দুরটা , রাস্তার পিচ গলিয়ে, ওনাকে আমাকে গলিয়ে, এক দারুণ উত্তেজনায় ছাতিম গাছের পাতায় শেষ বেলার নরম লাজুক মেয়েটি হয়ে থিরি থিরি কাঁপছিলো.
———–