প্রেম ছত্রাক (23)
– সাম্যময় সেন গুপ্ত –
খারাপ হতে ইচ্ছে করে ?
নষ্ট হতে চাও ?
ঝাউবনের মধ্যে দিয়ে –
একলা হেটে যাও
অন্ধকারে ছায়ার সাথে
নিবিড় হতে চাও ?
গোপন রাতের সমুদ্র কে –
আপন করে নাও
…………
প্রেম ছত্রাক (23)
– সাম্যময় সেন গুপ্ত –
খারাপ হতে ইচ্ছে করে ?
নষ্ট হতে চাও ?
ঝাউবনের মধ্যে দিয়ে –
একলা হেটে যাও
অন্ধকারে ছায়ার সাথে
নিবিড় হতে চাও ?
গোপন রাতের সমুদ্র কে –
আপন করে নাও
…………
ভিজেছো তুমি ?
– সাম্যময় সেন গুপ্ত –
বৃষ্টি তো সবার জন্যই নেমে আসে
তবুও, সবাই তো ভেজেনা
আজ ভিজেছিলে তুমি ?
ভিজেছে তোমার চুল ?
ভিজেছে তোমার নদী ?
সারাদিন নিরবধি টুপ টুপ…..
চিঠিতে লিখো প্লীজ
সেই সব বৃষ্টিদের কথা
যারা তোমায় ভেজায়
সারাদিন….টুপ টুপ … টাপুর টুপুর
…………
দাবার ছক
-সাম্যময় সেন গুপ্ত –
চারিদিকে সংঘবদ্ধ হবার আহ্বান
ঐকতানের সুর ………
এতো মহাজ্বালা !
সবাই এক সঙ্গে চলি কি করে বলতো ?!
সাদা কালোর ছকে বাঁধা জীবন -,
কেউ যাবে কোনাকুনি, কেউ সোজা
কেউ আবার এক, দুই, আড়াই ………।
……………..
অন্য অভিজ্ঞতা
-সাম্যময় সেন গুপ্ত-
মাথার ওপর বিশ্বস্ত পাখা ঘুরছে
এক ঘেয়ে শন্ শন্ শব্দের স্বাচ্ছন্দ…,
অপরিচিত নিশুতি রাত
খাটের চারপাশে কতগুলো মানুষ –,
আমার আপনজনেরা ।
ডাক্তার প্রেসক্রিপশন লিখছেন –
মগজের ক্যালকুলেটর-এর বোতাম টিপছেন
একাগ্র চিত্তে ,
এরপর আলাপ হবে ব্যবসায়ীদের সাথে-
তারা, অফুরন্ত বাতাসের খানিকটা
আলাদা করে আমায় দেবেন,
কখন দেবেন তাজা রক্ত ,
আমার প্রতি নিশ্বাসে ও শেষ নিশ্বাসে
প্রত্যক্ষ ভাবে টিকে থাকবে কিছু সংসার !
এ এক সুখানুভূতি , অন্য অভিজ্ঞতা ।
……….
নাড়ির টান
-সাম্যময় সেন গুপ্ত-
কোন ঘুম ঘুম দুপুরের আলস্যে, কাকগুলো
যখন বিশ্রাম নেয়।
তখন আমার
ঘরের আসবাবগুলো কথা বলে।
ভাঙা খাট, রঙচটা আলমারি, ড্রেসিংটেবিল
অনেক বছরের গোপন ধুলো ঝেড়ে
স্মৃতির ফিনফিনে মশারি সরিয়ে
সরব হয়।
জন্ম, মৃত্য, বিবাহ, যৌন ও গৌণ ক্রিয়াকলাপ
সবই দেখেছে তারা।
তাদের সারা গায়ে ছড়িয়ে আছে
প্রিয় স্পর্শ ।
একটা রক্ত মাংসের মানুষ ও আসবাবগুলো
পারষ্পারিক রক্তের টান অনুভব করে
স্বস্তি পায়।
………………..
ভালো লাগা
-সাম্যময় সেন গুপ্ত-
এক মুঠো ভালো লাগার খোঁজে
ছুটে এসেছি তার কাছে,
শহরকে পিছনে ফেলে
সে আকাশ মেখে বসেছিল ;
চোখে তার সাগরের স্তব্ধতা
চারিদিকে সবুজ ঘাস ও
বুনোফুলের স্তূপ। তার সঙ্গ চেয়েছিলাম,
কিণ্তু
সে সীগালদের সঙ্গে হারিয়ে গেল
গভীর নীলে, শৈশবের ধোঁয়াশায়।
…………….
The Day We Died -Samyamoy Sen Gupta-
Long ago
We made friendship with a bird
After a day’s hunting,
we used to sleep in our caves,
Morning used to step in,
on the wings of the bird
singing songs of Life .
In far future
We will make friendship with a man
After a day’s hunting,
We will hunt in our dreams.
Night will remain
in our warm soul
singing songs of Demise.
“Do you know when we died ?
We Died In Between !”.
————
কেমন আছ ?
-সাম্যময় সেন গুপ্ত-
ছোট্ট একটা প্রশ্ন ; হাসি মুখে
পাশে এসে দাঁড়ায় যখন তখন
মাথা নেড়ে বলি ‘ভাল আছি’, সে
চলে যায় – জানি আবার আচম্বিতে
আসবে কখনও ,চমকে দেবে আমায়
প্রতিদিনের পৃথিবীতে কত মানুষ
জবাব দেয় ‘কেমন আছ’র?
তারা সত্যিই কেমন থাকে কে জানে
কেমন আছি বলতে ভয় পাই, বলি
‘বেশ আছি’,জবাব কাপেটের মত
অনেক ধূলো চাপা দেয়-
হাসি পায়, ভীষণ ভীষণ ভীষণ
হাসি, গুহামানবের থেকে
সভ্য মানুষ এল,গুহা থেকে গেল
তাদের ভেতরে।
তবু এই ভাল-,
ছোট্ট একটা প্রশ্নের
ছোট্ট একটা উত্তর
‘ভাল আছি’ বা ‘বেশ আছি’
কিম্বা টিকে আছি অথবা…………।
……………………
দশজন মানুষ
– সাম্যময় সেন গুপ্ত –
দশজন মানুষ এক জায়গায় থাকলেই
থাকবে দুটো বেশ্যা, মদের বোতল
দশটি সতী , দশটি অসতী,
কিছু পশু পাখী
উঁকি ঝুঁকি দেবে ঈশ্বর
দশজন মানুষ এক জায়গায় মানেই
কিছু মিলিতো চিৎকার
কিছু ধার করা ধারণা, অধিকার বোধ
দশটি ক্রেতা, দশটি বিক্রেতা
দশজন মানুষ এক জায়গায় মানেই
দুর্বল ও সবল কবিতা
কিছু গান, কিছু কেচ্ছা কেলেঙ্কারি
গলাগলি, দলাদলি, ভীষণ মারামারি
দশজন মানুষ মানেই পাবো
দশটি মুখ, বিশটি মুখোশ
কখনো দর্শন, কখনো ধর্ষন
কখনো বা গভীর অরণ্য মন
সমাজ, সামাজিক ও সামাজিকতা
দশজন মানুষ মানেই পাবো
দশজন বক্তা, দশজন শ্রোতা
……….
বলেছিলে
– সাম্যময় সেন গুপ্ত –
বলেছিলে দেখা হবে
সবুজ অন্ধকারে,
কথা রাখোনি
বলেছিলে লিখবে চিঠি –
মৃত পাখীদের নিয়ে,
কথা রাখোনি
বলেছিলে “সাজবো আমি
চাঁদের কালো দাগে” –
কথা রাখোনি
বলেছিলে বিকেল হলেই –
আসবে আমার কাছে,
ভুল ঠিকানায় ;
কথা রাখোনি
সোনার বালা সোনার দুল
আর কালোয় সেজেছিলে,
কিণ্তু….,
কথা রাখোনি
তুমি রাখোনি প্রিয়তমা
তাই আমি স্বযত্নে দিয়েছি রেখে,
তোমার কথা কে –
নিজের কথা ভেবে !!
………..